প্রতিটা ডিভাইস ব্যবহার করা জন্য বিভিন্ন প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যারের প্রয়োজন হয়। প্রতিটা সফটওয়্যার যে ডিভাইসের জন্য তৈরী করা হয় ওই ডিভাইসের কার্নেলের ওপর নির্ভর করে তৈরী করা হয়। ডিভাইস বা অপারেটিং সিস্টেমের ওপর ভিত্তি করে সফটওয়্যারগুলোর এক্সটেনশন আলাদা হয়। যেমন উইন্ডোজ অপরেটিং সিস্টেমের সফটওয়্যার এক্সটেনশন .exe, ম্যাক অপরেটিং সিস্টেমের সফটওয়্যার এক্সটেনশন .dmg, এন্ড্রয়েটের এপসের এক্সটেনশন .apk
প্রতিটি অপারেটিং সিস্টেমের এই সফটওয়্যার বা এপস গুলো ডাউনলোড করার জন্য কর্তকপক্ষের থেকে এপ স্টোর তৈরী করা থাকে। ঠিক তেমনি একটি এপ স্টোরে হলো প্লে স্টোর। যেটাকে আমরা গুগল প্লে স্টোর নামেও চিনি। আজ আমার যে বিষয়গুলো জানবো
বিষয় বস্তুসমূহঃ
প্লে স্টোর কি
প্লে স্টোর হলো গুগলের একটি অফিসিয়াল একটি এপ্লিকেশন স্টোর। যেখানে হাজার হাজার এপস আপলোড থাকে। যা এন্ডায়েট ইউজারা এপ্লিকেশন ভেদে ফ্রি বা পেইডে ব্যবহার করতে পারেন।
আমরা সকলেই হয়তো জানি, এন্ড্রোয়েট অপারেটিং সিস্টেমের মালিক গুগল নিজেই। আর একটি অপারেটিং সিস্টেমকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য প্রয়োজন হয় ইউজারের প্রয়োজনমতো এপস স্টোর বা সফটওয়্যার ডাউনলোডের সুবিধা। আর এ লক্ষ্যেই গুগল প্লে স্টোর চালু করে। এখানে যাতে ডেভেলোপাররা নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন এপ তৈরী করে আপলোড করে সেজন্য গুগল বিভিন্ন প্রোগ্রাম চালু করে। যেমন এখানে ফ্রি এপস এর পাশাপাশি এপসগুলো প্রিমিয়াম বা পেইড ভার্সন রাখার সুবিধা দেয়। কেউ এই এপ ক্রয় করলে সেটা এপ এর মালিক পাবে। যারা ফ্রি এপ আপলোড করেন তাদের জন্যও আছে সুবিধা। এপ মনিটাইজ করার মাধ্যমে এপস এর ভেতর বিভিন্ন এডস দেখানো হয় গুগল এডস নেটওয়ার্ক এর সাহায্যে। তাই এখান থেকেও ডেভেলোপার বা এপসটির মালিক একটি প্যাসিভ ইনকাম করতে পারে। এপস টির ইউজার বেশি হবার সাথে সাথে ইনকামের পরিমানও বাড়তে থাকে। তাই সকলেই ট্রাই করে ইউনিক কোন এপস তৈরী করে সেটা আপলোড করার জন্য। তাই প্লে স্টোরে সব সময় ইউনিক এপস আপলোড হয় এপস তৈরী করার জন্য গুগল কে আলাদা করে কোন পরিশ্রম করতে হচ্ছেনা।
প্লে স্টোর অ্যাপস ডাউনলোড কিভাবে করবো
আমরা আগেই জেনেছি এন্ডোয়েট ও প্লে স্টোরের মালিক গুগল নিজেই। তাই গুগল তাদের সকল ফোলে প্লে স্টোরশুরু থেকেই এড করে দেয়। কেউ চাইলেও এটা ডিলিট করতে পারবে না। ফোনের ইন্সটল করা এপস গুলোর মাঝেই আপনি এই এপস টি পাবেন।
প্লে স্টোর থেকে কোন এপস ডাউনলোড করার জন্য অবশ্যই আপনার ফোনে ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে এবং পাশাপাশি আপনার ফোনে একটি গুগল একাউন্ট বা জিমেইল একাউন্ট লগইন থাকতে হবে। যদি আপনার কোন জিমেইল একাউন্ট থাকে তাহলে সেটা আপনার ফোনে লগইন করে নিতে পারেন প্লে স্টোরে ঢুকার সময়। আর যদি আপনার কোন জিমেইল একাউন্ট না থাকে তাহলে মোবাইল দিয়ে কিভাবে জিমেইল একাউন্ট তৈরি করবেন তা এই আর্টিকেল থেকে দেখে নিতে পারেন।
জিমেইল বা গুগল একাউন্ট লগইন করা হয়ে বা লগইন থাকলে আপনি আপনার ফোনে থাকা প্লে স্টোর এপস এ ঢুকুন। এপস ওপেন হবার পর আপনি জনপ্রিয় কয়েকটি এপসেএখানে দেখতে পাবেন। আপনি যে এপস টি ডাউনলোড করতে চাচ্ছেন সেটা এখানে থাকলে ততে ট্যাপ করুন। আর যদি না থাকে তাহলে ওপরে থাকা সার্চবার থেকে এপসটির নাম লিখে সার্চ দিন বা আপনি যে ধরনের এপস চাচ্ছেন সেটা লিখে সার্চ দিন। তাহলে আপনি সেই ক্যাটাগরির সকল এপস পর্যায়ক্রমে দেখাবে। এরপর আপনি যে ধরনের বা যে এপসটি চাচ্ছেন সেই এপস এ ট্যাপ করুন। এরপর আপনি ওই এপস টি সম্পর্কে আপনি আরও বিস্তারিত তথ্য সেখানে পাবেন। যেমন এপস টি ব্যবহার করে ইউজাররা কেমন সুবিধা পাচ্ছেন। এপসটির মালিক কে ইত্যাদি। যদি সব দেখে মনে হয় আপনি যে এপসটি চাচ্ছেন সেটি এই এপস তাহলে উপরের দিকে এপস এর নামের পাশে থাকা ইন্সটল বাটন এ ক্লিক করুন।
এরপর আপনার ফোনে এপসটি ডাউনলোড হওয়া শুরু হবে। ডাউনলোড কম্পিলিট হবার পর অটোমেটিকলি ইন্সটল হওয়া শুরু হয়ে যাবে। ডাউনলোড ও ইন্সটল হতে কত সময় লাগবে এটা নির্ভর করতে আপনার ইন্টারনেট কানেকশনের স্পিড ও কত বড় এপস ডাউনলোড করছেন এর ওপর। পাশাপাশি আপনি যে ফোনে ইন্সটল করতেছেন সেই ফোনের প্রেসেসিং ক্ষমতার ওপর।
প্লে স্টোর এর সুবিধা
প্লে স্টোর থেকে আপনি অনেক সুবিধা পাবেন। এর বেশি পরিমান সুবিধা পাবেন তা লিখে শেষ করা যাবে না। প্লে স্টোর আমাদের এমন অনেক সুবিধা দেয় যেগুলো আমরা সরাসরি বুঝতে পারি না।
তবুও কিছু সুবিধা নিয়ে আলোচনা করতেছি যেগুলো আমাদেরকে সব থেকে বেশি সুবিধা দেয়।
সেন্ট্রাল ম্যানেজমেন্ট
আপনার ফোনে ইন্সটল থাকা এপসগুলোকে সহজেই প্লে স্টোর থেকে ম্যানেজ করতে পারবেন। যেমন এপস ইন্সটল, আনইন্সটল ও আপডেট।
সহজে এপস ইন্সটল
মনে করুন আপনি আপনার ফোনে গুগল ক্রোম ওয়েব ব্রাউজার টি ইন্সটল করবেন। এটা ইন্সটল কার জন্য আপনি প্রথমে আপনার ফোনে থাকা প্লে স্টোর এপসটি ওপেন করুন এবং সার্চ করুন google chrome নামে। এরপর আপনি গুগল ক্রোম এ্যাপসটি দেখতে পাবেন। এবার সেটাতে ট্যাপ করুন। পরের ধাপে ইন্সটল করার জন্য ইন্সটল নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন। এটাতে ট্যাপ করলেই কিছু সময়ের মধ্যে গুগল ক্রোম আপনার ফোনে ইন্সটল হয়ে যাবে।
সিকিউরিটি
প্লে স্টোরে প্রতি টা এপস ভেরিফাই করার পর পবলিশ করা হয়। যা ফলে সেখানে ক্ষতিকর কোন এপস থাকার সম্ভাবনা একেবারেরই নেই। এরপরও প্লে স্টোর নিয়মিত আপনার ফোনের এপসগুলোর সিকিউরিটি চেক করে এবং নিয়মিত কোন এপস এর কোন সমস্যা থাকলে সেটা আপনাকে জানাবে। পাশাপাশি ক্ষতিকর এপস ইন্সটল করা থেকে আপনারকে বিরত রাখবে।
সর্বোপরি প্লে স্টোর এমন একটি সিস্টেম যার মাধ্যমে গুগল আপনার ফোনের A-Z সিকিউরিটি মেন্টেইন করবে এবং আপনার ফোন ও আপনার ডাটা কে রাখবে সুরক্ষিত।