চুল পড়া বন্ধ করার উপায় – Ways to stop hair loss

চুল সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। ছেলে-মেয়ে অনেকেই চুল পড়া সমস্যায় ভুগে থাকেন, অল্প বয়সে মাথায় টাক পড়ে যাচ্ছে অনেক মানুষের। নারী-পুরুষ উভয়েই এক্ষেত্রে ভুক্তভুগী হচ্ছে। চুল পড়া সৌন্দর্য নষ্টের পাশাপাশি বাড়তি দুশ্চিন্তা হয়ে দাড়িয়েছে অনেকের। অনেকে আবার নতুন চুল গজানোর আশায় বাজারের বিভিন্ন কেমিক্যাল যুক্ত তেল বা পণ্য দ্রব্য ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু এতে উপকারের চেয়ে অপকার বেশি হয়। চিকিৎসাবীদের মতে খাদ্যে পুষ্টি গুণের অভাব, বংশগত কারণ, আয়রন, ক্যালসিয়ামের অভাব, হরমোনের ভারসাম্য ঠিক না থাকা, বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সমস্যা ও থাইরয়েডের সমস্যার কারণে চুল পড়তে পারে। সমস্যা যেটাই হোক না কেন, সবারই সমস্যা সমাধান করা দরকার।

চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপাই

চেহারার সাথে সাথে চুলের যত্ন নেয়া খুবই প্রয়োজন, কেননা চুল সৌন্দর্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। প্রত্যেকের চুল পড়া একটি জটিল সমস্যা অথচ এই বিষয়টি আমরা তেমন গুরুত্ব দেই না। তো চলুন জেনে নেয়া যাক চুল পড়া বন্ধ করতে ঘরোয়া কিছু উপাই। এতে চুল ঝড়ে পড়া তো বন্ধ হবে সেই সাথে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।

চুল পড়া রোধে আমলকির ব্যবহার

আমলকি চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগাতে সহায়তা ও দ্রুত চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি চুলের জন্য দরকারি একটি উপাদান। ভিটামিন সি এর অভাবে চুল ঝড়ে পড়ে এবং আমলকিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা এই ভিটামিন এর ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে। চুল পরিচর্যায় আমলকি যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। এর  রস চুলের জন্য অত্যন্ত কার্যকারী উপাদান। এতে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা চুল কন্ডিশনিং এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এছাড়াও নারকেল তেলের সাথে কাঁচা আমলকির রস মিশিয়ে মাথায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করে লাগালে অথবা শুকনো আমলকি টুকরো করে নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে সামান্য তাপে ১৫-২০ মিনিট হালকা গরম করে নেবেন। তারপর তেল ঠান্ডা হয়ে গেলে মাথায় লাগাবেন এবং এক ঘন্টা পরে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে সপ্তাহে দুই তিন দিন লাগালে অনেক ভালো ফলাফল পাবেন।

চুলের যত্নে অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরা ত্বক ও চুলের যত্নে অধিক কার্যকারী ও অন্যতম একটি উপাদান। অ্যালোভেরা চুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ই যোগায়। এটি খাওয়া যায় আবার ত্বকে লাগানো যায়। অ্যালোভেরা চুলকে মসৃণ করে এবং এটি অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া যুক্ত থাকায় চুলের শুষ্কতা, মাথার শুষ্ক ত্বক, খুশকি দূর করে। শরীরের বহু রোগ নিরাময়ের জন্য অ্যালোভেরা ব্যবহার করা হয়। 

সরাসরি গাছ থেকে সংগ্রহ করা অ্যালোভেরা চুলে লাগাতে পারেন অথবা বাজারে বিভিন্ন ধরনের অ্যালোভেরার জেল প্যাক পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। সরাসরি গাছ থেকে তুলে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে কারো কারো অ্যালার্জি হতে পারে, সে ক্ষেত্রে ব্যবহারের পূর্বে পরীক্ষা করে নিবেন। এটি চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগিয়ে এক ঘন্টার মত রাখবেন এবং তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে সপ্তাহে এক দুই দিন ব্যবহার করার পর নিজেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন। 

চুল পড়া কমাতে মেথির ব্যবহার

চুল বৃদ্ধি করতে ও চুল পড়া রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে মেথি। মেথি খুব সহজেই সংগ্রহ করা যায়। বলতে গেলে মেথি সবসময় সবার রান্না ঘরে থাকে। মেথি চুল যেমন সিল্কি করে তেমনি চুল পড়া রোধের পাশাপাশি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। মেথি নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল দ্রুত বৃদ্ধি হয়। মেথিতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, আয়রন ও ভিটামিন সি রয়েছে। যা আমাদের চুলের জন্য খুবই উপযোগী উপাদান। তাছাড়া মেথি অকালপক্কতা রোধ করে, চুল ঘন ও মসৃণ করে। 

রাতে পরিমাণ মত মেথি নিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন তারপর সকালে মেথি ও কিছু মেহেদি পাতা বেটে মিশ্রণটি গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগান। এরপর এক দুই ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল অনেক সিল্কি হবে, খুশকি দূর হবে। প্রতি সপ্তাহে মেথি এক দিন ব্যবহার করলে এক মাসের মধ্যেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।

চুল পড়া রোধে নিম পাতা

নিম পাতা প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে, চুল পরিচর্যায়, চুল বৃদ্ধিতে ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় নিম ব্যবহার করা হয়। নিমে উচ্চমাত্রায় ফ্যাটি এসিড রয়েছে যার ফলে মাথার ত্বকের জন্য নিম খুবই উপযোগী। যারা মাথায় টাক পড়া কিংবা চুল পাতলা হওয়া নিয়ে চিন্তা করছেন তারা নিম পাতার রস ব্যবহার করতে পারেন। এটি চুলের গোড়া শক্ত কর, ত্বকের ফুসকুড়ি দূর করে, খুশকি ও উকুন সমস্যা সমাধান করে।

এছাড়া নারকেল তেলের সাথে নিম পাতার রস মিশিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করার ফলে মাথায় রক্ত চলাচল বজায় থাকে। মিশ্রণটি লাগানো হয়ে গেলে ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। নিম পাতার সাথে অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল, নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।

চুলের যত্নে পেঁয়াজের রস

চুল পড়া রোধ করতে পেঁয়াজের রস একটি অন্যতম উপাদান। পেঁয়াজের রস অন্যান্য উপাদানের চেয়ে অতি দ্রুত কাজ করে। পেঁয়াজে অ্যান্টি ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল থাকায় চুলকে আরো ঘন করে তোলে এবং পুষ্টি যোগায়। 

পেঁয়াজে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমূহ। যা অকালপক্কতা কমায় এবং সালফার উপস্থিত থাকায় চুল ভাঙ্গা রোধ করে। প্রতিনিয়ত পেঁয়াজ ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হয় ও নতুন চুল গজায়। এছাড়া পেঁয়াজের রসে ক্যান্সার প্রতিরোধক ক্ষমতা রয়েছে যা গবেষণায় লক্ষ করা গেছে। পেঁয়াজের রস চুলের গোড়া শক্ত করে ও খুশকি দূর করে। 

বড় মাপের একটি পেঁয়াজ কেটে নিয়ে ভালোভাবে পেষ্ট তৈরি করে নিন। তারপর পেষ্টটি পরিষ্কার কাপড়ের সাহায্য নিয়ে পেঁয়াজ থেকে রস আলাদা করে নিন। এখন পেঁয়াজের রস চুলের গোড়ায় সরাসরি লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। চুল রস টেনে নেয়ার পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এভাবে একটানা কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করলে চুল পড়া নিমিষেই কমে আসবে। যদি পেঁয়াজের গন্ধ সহ্য করতে না পারেন সে ক্ষেত্রে রসের সাথে অল্প পরিমাণে আপনার পছন্দ মত এসেনশিয়াল অয়েল মেশাতে পারেন। 

ডিম দিয়ে চুলের যত্ন

ডিম হচ্ছে চুল দ্রুত বৃদ্ধির অন্যতম একটি উপাদান। ডিম চুল মসৃণ করে, চুলের রুক্ষতা দূর করতে সহায়তা করে। ডিমে ভিটামিন এ, ডি এবং বায়োটিন রয়েছে। যার ফলে এটি চুল সুস্থ রাখে। এছাড়া চুল ঝলমলে করে তোলে। ডিমে যে পুষ্টি গুণ রয়েছে সেটি চুলের জন্য অধিক উপকারী। চুলের গোড়া শক্ত ও মজবুত করতে চাইলে ডিমের মাক্স তৈরি করে সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করতে পারেন।

পরিমাণ মত লেবুর রসে একটি ডিমের কুসুম নিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। মিশ্রণ তৈরি হয়ে গেলে চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত লাগান এবং ৩০ মিনিট পর চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি ১৫ দিন পরপর ব্যবহার করতে পারেন। আপনি চাইলে এই মাস্ক এ নারকেল তেল, অলিভ অয়েল ও কলা মেশাতে পারেন।

চুলের যত্নে যষ্টিমধু

মধুর উপকারিতা অনেক। চুল পড়া এড়াতে যষ্টিমধু একটি অন্যতম উপাদান। চুলের বিভিন্ন রকমের সমস্যার সমাধান করতে পারে যষ্টিমধু। এটি মাথায় টাক পড়া রোধ করতে বেশ কার্যকরী। যষ্টিমধুতে অ্যামোনিয়া এসিড ও বিভিন্ন উপাদান থাকায় এটি চুলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বজায় রাখতে ও চুল শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এটি খুশকিও দূর করে। 

পরিমাণ মতো যষ্টিমধু ও পানি নিয়ে তা সামন্য তাপে ১৫-২০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। ফুটানোর পর যে পানি বের হবে তার ভিতরে অল্প ক্যাস্টর অয়েল ও নারকেল তেল মিশিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করে সারারাত রেখে দিন এবং সকালে ধুয়ে ফেলুন। চাইলে গোসলের কয়েক ঘন্টা আগে লাগাতে পারেন। এটি সপ্তাহে অন্তত একদিন করতে পারেন। তাহলে চুল দ্রুত বৃদ্ধি পাবে, চুল শক্তিশালী হবে এবং চুল পুষ্টি ও পাবে।

চুলের যত্নে লেবু

লেবু চুলের যত্নে ও চুল পড়া রোধে অধিক উপকারী একটি উপাদানসমূহ। লেবু ব্যবহারে চুল উজ্জ্বল হয়। লেবুতে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। যা চুল পড়া কমাতে সহায়তা করে। সেই সাথে খুশকি দূর করতে দারুন কাজ করে। লেবুর রস মাথায় সরাসরি ব্যবহার করা যায়।

চুল পড়া কমাতে আলুর ব্যবহার

আলুর রস চুলের পতন রোধ করতে সাহায্য করে ও চুল দ্রুত বৃদ্ধির জন্য আলু অন্যতম উপাদান। আলুর রস চুলে পুষ্টি যোগায়, চুল উজ্জ্বল ও মসৃণ করতে সহায়তা করে।

আলু বেটে নিয়ে রস বের করে নিন। তারপর নারকেল তেল হালকা গরম করে আলুর রসের সাথে মিশিয়ে মাথায় লাগিয়ে রাখুন ২০-৩০ মিনিট। এরপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল পড়া কমে যাবে ও চুলের গোড়া শক্ত হবে। 

অলিভ অয়েল মধু দারুচিনি

দারুচিনি, অলিভ অয়েল, মধু চুল পতন রোধ করতে অধিক কার্যকর। এটি পুষ্টি যোগায়, চুল উজ্জ্বল করে তোলে। এই উপাদান গুলোতে প্রোটিন রয়েছে যার জন্য চুল বৃদ্ধি হয় দ্রুত এবং চুল ঝলমলে, উজ্জ্বল ও মসৃণ হয়।

প্রথমে অলিভ অয়েল হালকা গরম করে নিতে হবে। তারপর পরিমাণ মতো দারুচিনির গুড়া, মধু মিশিয়ে একটি প্যাক রি করে নিন। প্যাক তৈরি হয়ে গেলে মাথার ত্বক সহ চুলের ডগা পর্যন্ত সুন্দর করে আঙ্গুলের সাহায্যে ম্যাসাজ করুন। প্যাকটি ২০-২৫ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর আপনার ব্যবহৃত শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এটি ব্যবহার করলে চুলের ভাঙ্গন রোধ হবে, চুলের গোড়া শক্ত ও মসৃণ হবে।

উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়

চুলের যত্নে কারি পাতা

চুলের ভাঙ্গন রোধ করতে কিংবা নতুন চুল গজাতে ও চুল বৃদ্ধিতে কারি পাতা হচ্ছে অন্যতম একটি উপাদান। কারি পাতায় যে উপাদান গুলো রয়েছে সেগুলো চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কারি পাতায় প্রোটিন ও ক্যারোটিন থাকায় এটি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যামিনো অ্যাসিড কারি পাতায় থাকায় চুল শক্তিশালী করে ও চুলের ফলিকল গুলোর আদ্রতা বজায় রাখে, খুশকি মুক্ত করে, অকালপক্কতা দূর করে। কারি পাতা চুলের প্রাকৃতিক রং ও বজায় রাখতে সাহায্য করে।

বিশুদ্ধ নারকেল তেলের সাথে ৮-১০ টা কারি পাতা ফুটিয়ে নিবেন এবং হালকা সবুজ না হওয়া পর্যন্ত ফুটাবেন। রং সবুজ হলে ফোটানো বন্ধ করে দিবেন। তারপর এটি ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুণ। ঠান্ডা হয়ে গেলে এটি আপনি কাচের বোতলে করে সংরক্ষণ করতে পারেন। মিশ্রণটি চুলে লাগানোর এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলবেন। এটি মাসে দুই বার ব্যবহার করতে পারেন এবং কিছুদিন পর আপনি নিজেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন। অন্যদিকে কারি পাতা টক দইয়ের সাথে মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করতে পারেন, এটি চুল উজ্জ্বল ও ঘন করে তোলে। 

চুল পড়া কমাতে নারকেল তেল

চুল পরিচর্যায় নারিকেল তেলের গুনাগুন অপরিসীম। নারকেল তেল চুল সতেজ করে ও চুলকে প্রাণ উজ্জ্বল করে তোলে। চুলের যত্নে মাথায় যাই লাগান না কেন সব ক্ষেত্রেই নারকেল ব্যবহার করা হয়। নারকেল তেল মাথার গভীরে প্রবেশ করে, চুলের গোড়া শক্ত করে। নারকেল তেল হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে। নারকেল তেল চুলে পুষ্টি যোগায়, চুল পড়া কমায়, ঘন কালো করে ও মসৃণ করে। 

নারকেল তেল মাথায় সরাসরি ব্যবহার করা যায় আবার ব্যবহার করার আগে হালকা গরম করে নিলে আরো ভালো কাজ করে। তেল মাথায় দিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করবেন যাতে চুলের গোড়ার গভীরে পৌছায়। তেল দেয়ার দুই তিন ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে তিন দিন তেল দিতে হবে এবং তিন দিন শ্যাম্পু করতে হবে তাহলে চুল উজ্জ্বল ও চুলের গোড়া শক্ত হবে, চুল ঝরে পড়া বন্ধ হবে।

এছাড়াও ধনেপাতা, শিকাকাই, হেনার, বিটের রস, গ্রিন টি, নারকেলের দুধ জবা ফুল চুলের যত্নে ব্যবহার করা হয়। গ্রিন টিতে ক্যাফেইন রয়েছে যা চুলের জন্য খুবই উপকারী এবং এটি চুলের আগা ফাটা রোধে কাজ করে। বিটের রসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন চুলের ফলিকল গুলো মজবুত করে এবং চুলের গোড়া গভীর থেকে পরিপুষ্ট করে তোলে। চুলের যত্নে জবা ফুল অধিক কার্যকর, এটি পুষ্টি যোগায় চুল বৃদ্ধি করে, খুশকি ও মৃত চামড়া রোধ করে এবং ধুলাবালি থেকে চুলকে রক্ষা করে। চুল ঘন করতে জবা ফুল বেশ উপযোগী। জবা ফুল ও গাছের পাতা প্রাকৃতিক উপাদান সে জন্য ব্যবহার করা নিরাপদ। অ্যামিনো ও ভিটামিন সি থাকায় এটি চুলের যে কোন ক্ষতির সাথে লড়াই করতে সক্ষম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *