ওয়ার্ডপ্রেস হলো বর্তমান বিশ্বের সবথেকে বেশি ব্যবহৃত এবং জনপ্রিয় একটি CMS বা ব্লগিং সফটওয়্যার। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে যে, বর্তমানে ইন্টারনেটে যতগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে তন্মধ্যে ৪৩ শতাংশেরও বেশি ওয়েবসাইট WordPress ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।
সুতরাং বুঝতেই পারছেন এই সফটওয়্যারটি এখন ওয়েব ডিজাইনার, ওয়েব ডেভেলপার বা সাধারণ একজন ব্লগারের নিকটও কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে আপনি যদি ওয়েবসাইট ভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের কাজগুলোর ব্যাপারে নতুন হয়ে থাকেন, তাহলে WordPress নিয়ে আপনার মনে নানান রকমের প্রশ্ন থাকতেই পারে।
যেমন- ওয়ার্ডপ্রেস কি, ওয়ার্ডপ্রেস কিভাবে শিখব, ওয়ার্ডপ্রেস কিভাবে ইন্সটল করতে হয় এবং এরকম আরও অনেক প্রশ্ন। এক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি সেটি হলো, আপনি যদি সত্যিই ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে কাজ করতে চান এবং শিখতে চান, তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই এই প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর আপনার জানা দরকার।
তাই আজকের এই পর্বে আমরা ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কিত এ সমস্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর বিষদভাবে ও যথাযথভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করব। যাতে করে ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কিত কোন তথ্য নিয়ে আপনাক আর দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকতে না হয়। তবে এজন্য আপনাকে ধৈর্য্য সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি একদম শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
বিষয় বস্তুসমূহঃ
ওয়ার্ডপ্রেস কি
সহজভাষায় বলতে গেলে, ওয়ার্ডপ্রেস হলো এমন একটি ইন্টারনেট সফটওয়্যার যেটি ব্যবহার করে ওয়েবসাইট বা ব্লগসাইট তৈরি করা যায়। অর্থ্যাৎ আপনি যদি একজন ওয়েব ডিজাইনার বা ব্লগার হয়ে থাকেন বা হতে চান, তাহলে WordPress এর মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারেন।
আর যদি আরেকটু টেকনিক্যালি বলি তাহলে, WordPress হলো একটি ব্লগ পাবলিশিং অ্যাপ্লিকেশন এবং পাশাপাশি বিশ্বের এক নাম্বার CMS বা Content Management System Software. এখানে CMS সফটওয়্যার মানে হলো এমন একটি সফটওয়্যার যার মাধ্যমে ওয়েবসাইটের সব ধরনের কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট করা হয়ে থাকে এবং ব্লগ পাবলিশ করা হয়ে থাকে।
কন্টেন্ট হলো একটি ওয়েবসাইটের প্রধান উপাদান। এক্ষেত্রে কন্টেন্ট বলতে ব্লগসাইটে ব্যবহৃত যেকোন ধরনের ছবি, রং, আর্টিকেল এবং যাবতীয় যেকোন রকমের তথ্য হতে পারে। ওয়েবসাইটের মধ্যে এর কন্টেন্টগুলোকে সঠিকভাবে বিন্যস্ত করার প্রক্রিয়ার নামই হলো কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট। আর ওয়ার্ডপ্রেস হলো সেরকমই একটি কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা সিএমএস।
ওয়ার্ডপ্রেস হলো বর্তমান বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় একটি CMS সফটওয়্যার। এটি সর্বপ্রথম ২০০৩ সালের ২৭শে মে ম্যাট মুলেনওয়েগের হাত ধরে প্রথম আত্মপ্রকাশ করে। আর এরপর থেকে সময়ের ধারাবাহিকতায় এর জনপ্রিয়তা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে।
WordPress এর এই বিপুল পরিমাণ জনপ্রিয়তার মূলে রয়েছে এর কিছু ইউনিক বৈশিষ্ট্য। যেমন- এটি হচ্ছে PHP এবং MySQL দ্বারা তৈরিকৃত সম্পূর্ণ ফ্রি একটি CMS সফটওয়্যার। অর্থ্যাৎ এতে প্রিমিয়াম থিমের পাশাপাশি অনেক ফ্রি থিম রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করতে আপনার কোন টাকা খরচ হবে না। এটি ব্যবহার করে আপনি বিনামূল্যে প্রিমিয়াম লেভেলের সার্ভিস পেতে পারেন এবং ওয়েবসাইট তৈরি ও রান করাতে পারেন।
এছাড়া যারা প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপার বা ওয়েব ডিজাইনার নন তাঁরাও এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে ফ্রিতে পুরোপুরি প্রফেশনাল ধরনের ওয়েবসাইট বানাতে পারেন। অথবা আপনার যদি কোনো কোডিং নলেজ না থাকে তাহলেও আপনি ওয়ার্ডপ্রেস এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট ডেভেলপ করতে পারবেন যদি আপনি ওয়ার্ডপ্রেসের সঠিক ব্যবহার জেনে থাকেন।
ওয়ার্ডপ্রেস কিভাবে শিখব
ওয়ার্ডপ্রেস বিশ্বের এক নাম্বার CMS Software এবং ব্লগ পাবলিশিং অ্যাপ্লিকেশন। বর্তমান সময়ের বেশিরভাগ ব্লগার, ওয়েব ডেভেলপার, ওয়েব ডিজাইনার, ফ্রিল্যান্সার এবং সাধারণ ব্যবসায়ী পর্যন্ত তাদের ব্যবসায়িক ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট এর জন্য ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করেন।
তাই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসেও ওয়ার্ডপ্রেস রিলেটেড কাজের চাহিদা অনেক। কেননা ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে সবকিছুই এখন ওয়েবসাইট নির্ভর। তাই ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট রিলেটেড কাজও অনেক। কিন্তু এক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীর সংখ্যাও অপ্রতুল। তাই ওয়ার্ডপ্রেসের কাজ শিখে আপনিও অনলাইন বা অফলাইনে কাজ করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন।
তাছাড়া আপনি যদি ব্লগিং করতে চান বা আপনার ছোটখাটো ব্যবসার জন্য একটি ওয়েবসাইট খুলতে চান, তাহলে আপনি নিজে নিজেই WordPress ব্যবহার করে বিনা খরচায় একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারেন। কেননা ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি যে, ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করতে যেমন কোনো কোডিং নলেজ থাকা লাগেনা, তেমনি প্রিমিয়াম থিম ছাড়া ফ্রি থিম ব্যবহার করেও এটি করা যায়।
তাই আপনার যদি ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করার আগ্রহ থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই WordPress শিখে নেওয়া উচিত। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস শেখা যায়।
তাহলে শুনুন। ওয়ার্ডপ্রেস শেখা আহামরি কঠিন বা সময়সাপেক্ষ কোন বিষয় নয়। ইন্টারনেটের এই সোনালি যুগে যখন কোন কিছুই অসম্ভব নয়। সেখানে WordPress এর কাজ শেখাও কোনো জটিল কিছু নয়। বরং ঘরে বসেই যে কেউ এটি শিখে নিতে পারে।
কেননা ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে ইন্টারনেটে আপনি অনেক ভিডিও টিউটোরিয়াল এবং কন্টেন্ট পেয়ে যাবেন। দৈনিক নির্দিষ্ট কিছু সময় বের করে সেসব টিউটোরিয়াল থেকে সহজেই ওয়ার্ডপ্রেস শিখে নেওয়া যায়। এছাড়া যারা প্রফেশনাল ব্লগার বা ওয়েব ডেভেলপার রয়েছেন তাদের থেকেও সরাসরি ওয়ার্ডপ্রেসের প্রশিক্ষণ নিয়ে নিতে পারেন।
মোটকথা ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে আপনার আহামরি কোনো সময় বা টাকা ব্যয় করতে হবেনা। বেসিক্যালি আপনার যা প্রয়োজন তা হলো একটি সচল কম্পিউটার বা ল্যাপটপ, ইন্টারনেট কানেকশন এবং প্রয়োজনীয় সময় ও ডেডিকেশন।
এখন আপনি ইউটিউব এর গিয়ে সার্চ করুন wordpress tutorial এরপর আপনি সেখানে দেশি বিদেশি অনেক টিউটোরিয়াল দেখতে পারবেন। এগুলোর দেখে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস এর বেসিক জিনিসগুলো জানতে পারবেন।
এভাবে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল থেকে ওয়ার্ডপ্রেসের বেসিক বিষয়গুলো শেখা হয়ে গেলে তারপর প্র্যাকটিক্যালি এর ব্যবহার শিখতে হবে। এজন্য প্রথমে Xampp সফটওয়্যারটি ইন্সটল করুন এবং এরপর সেখান থেকে WordPress সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করুন ও তারপর ইন্সটল করুন।
ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করা হলে ধারাবাহিকভাবে একটি নির্দিষ্ট ক্রম অনুযায়ী WordPress ব্যবহার করা শেখা শুরু করুন। যেমন-
১. প্রথমে ওয়ার্ডপ্রেসের ড্যাশবোর্ড বা কন্ট্রোল প্যানেলের কোথায় কোন অপশন রয়েছে এবং কোনটির কি ব্যবহার তা শিখে নেবেন।
২. এরপর আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেসের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি অর্থ্যাৎ থিম কাস্টমাইজেশন শিখতে হবে। WordPress theme হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের কাঠামো।
অর্থ্যাৎ একটি ওয়েবসাইট দেখতে কেমন হবে সেটি নির্ভর করবে আ়পনার ব্যবহৃত থিমের উপর। একেকটি থিমের রয়েছে একেক রকম ফিচার, কালার, ফন্ট ও স্টাইল।
ওয়ার্ডপ্রেসে আপনি এরকম অসংখ্য ফ্রি থিম পাবেন। পাশাপাশি অনেক প্রিমিয়াম থিমও রয়েছে। প্রথমে ফ্রি থিমগুলোর ব্যবহার শিখে নিতে পারেন। পরবর্তীতে প্রয়োজনে প্রিমিয়াম থিম ব্যবহার করতে পারবেন।
৩. ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন শেখার পর এবার WordPress Plugins এর ব্যবহার শিখে নিতে হবে। ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন ব্যবহারের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে নিজের ইচ্ছেমত বিভিন্ন ফাংশন ও ফিচার যুক্ত করতে পারবেন। যেমন- social media sharing option, social media profiles, email box, author box, related articles option প্রভৃতি।
মোটামুটি এ কয়েকটি বিষয় শেখা হয়ে গেলেই ওয়ার্ডপ্রেস এর মাধ্যমে আপনি নিজে নিজেই ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। তবে আপনি যদি আরেকটু অ্যাডভান্স লেভেলের লার্নার হয়ে থাকেন তাহলে HTML এবং CSS শিখে নিতে পারেন। এতে করে আপনার দক্ষতা যেমন বাড়বে তেমনি মার্কেটপ্লেসে চাহিদাও বাড়বে।
ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করবেন যেভাবে
ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার জন্য প্রথমে আমাদের ডোমেইন ও হোস্টিং থাকতে হবে। এখানে ডোমেইন (domain) বলতে বুঝায় আপনার ওয়েবসাইটের নাম এবং হোস্টিং (hosting) হলো সেই ওয়েবসাইটের ফাইলগুলো যে স্থানে জমা রাখবেন হবে সে স্থানটি।
ডোমেইন ও হোস্টিং মূলত বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে কিনে নিতে হয় যেটাকে বলা হয় লাইভসার্ভার। কিন্তু আমার যেহেতু এখানে ওয়ার্ডপ্রেসকে একটি ওপেন সোর্স হিসেবে ব্যবহার করবো তাই আমরা জানবো কিভাবে বিনা খরচায় অর্থ্যাৎ ডোমেইন ও হোস্টিং না কিনেই ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করা যায়। তবে পরবর্তীতে আমরা অবশ্যই শিখবো কিভাবে লাইভ সার্ভার এ ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করতে হয়।
বিনামূল্যে WordPress ইন্সটল ও ব্যবহার করার জন্য প্রথমে আমাদের প্রয়োজন হবে একটি লোকাল সার্ভারের। এক্ষেত্রে আমরা আমাদের কম্পিউটারকেই লোকাল সার্ভার হিসেবে ব্যবহার করতে পারি। তবে এজন্য আমাদের যা যা প্রয়োজন হবে তা হলো:
- পিএইচপি (PHP)
- ডেটাবেজ (database)
- ওয়েব সার্ভার (web server) এবং
- ব্রাউজার (browser)
আপনি চাইলে এগুলো আলাদা আলাদাভাবে ডাউনলোড করে একটি কম্পিউটারকে লোকাল সার্ভারে পরিণত করতে পারেন। তবে এটি তুলনামূলক সময়সাপক্ষ এবং ঝামেলার। তাই সবথেকে সহজ পদ্ধতিটি হলো PHP, Database এবং Web Server- এই তিনটি জিনিসকে একসাথে একটি প্যাকেজ সফটওয়্যার হিসেবে ডাউনলোড করে নেওয়া।
ইন্টারনেটে এ ধরনের অনেক প্যাকেজ সফটওয়্যার রয়েছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সফটওয়্যার হলো xampp, wamp, lamp এবং mamp. এদের যেকোন একটি ডাউনলোড করেই কাজ করা যায়। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে xampp সফটওয়্যারকেই প্রেফার করবো।
তো চলুন এবার জেনে নেই লোকালসার্ভার এর মাধ্যমে কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করবেন।
Xampp প্যাকেজ সফটওয়্যার ইন্সটল
Xampp সম্পূর্ণ ফ্রি একটি সফটওয়্যার। আপনার কম্পিউটার ব্রাউজারে গিয়ে xampp লিখে সার্চ দিয়ে অথবা এই লিঙ্ক থেকে অপারেটিং সিস্টেম অনুযায়ী সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন।
ডাউনলোড হয়ে গেলে সফটওয়্যারটি ওপেন করুন। সফটওয়্যার ওপেন হলে এর হোম পেজ থেকে Apache এবং MySQL অপশন দুটি সিলেক্ট করে start বাটনে ক্লিক করুন। স্টার্ট বাটনে ক্লিক করলে এ্যাপাচি এবং মাইএসকিউএল লিখা অপশন দুটির নিচে সবুজ রং চলে আসবে। আর যদি না আসে তাহলে বুঝবেন এটি চালু হয়নি।
Note: আপনার কম্পিউটারে যদি Skype চালু করা থাকে তাহলে xampp ব্যবহার করার সময় কিছুটা ঝামেলা হতে পারে। যে কারণে অনের সময় স্টার্ট বাটনে ক্লিক করলেও Apache এবং MySQL অপশনগুলো চালু হয়না। তাই প্রথমেই কম্পিউটারের স্কাইপি বন্ধ করে রাখুন অথবা ভুলে গেলে পরবর্তীতে বন্ধ করে পুনরায় স্টার্ট বাটনে ক্লিক করুন।
ওয়ার্ডপ্রেস ডাউনলোড করুন
Apache এবং MySQL চালু হয়ে গেলে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার জন্য লোকালসার্ভার এখন পুরোপুরি প্রস্তুত। এবার আপনার কম্পিউটারে থাকা ব্রাউজার ওপেন করুন এবং এড্রেসবারে গিয়ে localhost লিখে সার্চ করুন।
তাহলে কম্পিউটার স্ক্রিনে একটি নতুন উইন্ডো ওপেন হবে। সেখান থেকে phpMyadmin লেখা অপশনটিতে ক্লিক করুন এবং পরবর্তী পেজে প্রবেশ করুন।
এই পেজটি থেকে new অপশনে ক্লিক করে ডাটাবেজ তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে নিজের ইচ্ছেমত একটি নাম দিয়ে create অপশনে ক্লিক করুন।
ডাটাবেজ তৈরি হয়ে গেলে এবার এই লিংক থেকে ওয়ার্ডপ্রেস ডাউনলোড করুন। তারপর কম্পিউটারের xampp নামের ফোল্ডারে প্রবেশ করুন। এই ফোল্ডারের ভিতর htdocs নামে আরেকটি ফোল্ডার পাবেন।
এখন এই ফোল্ডার থেকে নতুন আরেকটি ফোল্ডার তৈরি করুন। এবার এই ফোল্ডার থেকে ডাউনলোড করা ওয়র্ডপ্রেসের জিপ (.zip) ফাইলটিকে আনজিপ (unzip) করুন।
আনজিপ করলে ওয়ার্ডপ্রেস নামের আরেকটি নতুন ফোল্ডার যুক্ত হবে। এই ফোল্ডারের ভিতর আবার অনেকগুলো ফাইল ও ফোল্ডার পাবেন। এখন এই ফাইল ও ফোল্ডারগুলোকে কপি করে wordpress ফোল্ডারের বাইরে এনে পেস্ট করে দিন। এখন wordpress ফোল্ডার এবং ওয়ার্ডপ্রেসের জিপ ফাইলটি ডিলিট করে দিন।
এবার পুনরায় ব্রাউজারে গিয়ে এড্রেসবারে localhost লিখে সার্চ করুন। তাহলে কম্পিউটার স্ক্রিনে আরেকটি নতুন পেজ ওপেন হবে। পেজটি ওপেন হলে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার মূল কাজ শুরু হবে।
ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করুন
প্রথমে পেজের ল্যাঙ্গুয়েজ অপশন থেকে ভাষা (ইংলিশ) সিলেক্ট করুন। এরপর continue বাটনে ক্লিক করুন এবং পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করুন।
এবার Lets go! লেখা অপশনটিতে ক্লিক করুন। তাহলে নতুন আরেকটি পেজ ওপেন হবে।
এ পর্যায়ে database name ঘরে আপনার ডাটাবেজের নাম দিন এবং ইউজার নেমের ঘরে root লিখুন। এরপর আর কোনকিছু পরিবর্তন না করে submit বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করুন।
এবার নতুন পেজটি থেকে শুধুমাত্র Run the Installation অপশনটি সিলেক্ট করুন। এর ফলে আপনার সামনে আরেকটি নতুন পেজ আসবে।
এখানে Site Title লেখা ঘরে আপনার ওয়েবসাইটের নাম দিন এবং Username ঘরটিতে admin লিখুন। এরপর পাসওয়ার্ডের ঘরে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড সেট করুন।
এবার Your email লিখা ঘরে আপনার ব্যবহৃত ইমেইল ঠিকানাটি লিখুন। এরপর পেজের নিচে থাকা Install WordPress লিখাটির ওপর ক্লিক করুন।
কিছু সময় পর ওয়র্ডপ্রেস ইন্সটল হয়ে গেলে একটি Success ম্যাসেজ পাবেন। এখান থেকে log in বাটনে ক্লিক করে অথবা http://localhost/wordpress/wp-login.php এই ঠিকানায় যেয়ে ইউজার নেমে admin এবং পাসওয়ার্ডের ঘরে আপনার দেওয়া পাসওয়ার্ডটি লিখুন।
এরপর log in বাটনে ক্লিক করলে WordPress এ লগ ইন হয়ে যাবে। এবার ওয়ার্ডপ্রেসের ড্যাশবোর্ড বা কন্ট্রোল প্যানেল থেকে আপনার ইচ্ছেমতো ওয়েবসাইট সাজাতে পারবেন, পোস্ট করতে পারবেন এবং পেজ সংযোজন করতে পারবেন।
আমাদের শেষ কথা
তো বন্ধুরা! ওয়ার্ডপ্রেস কি, কিভাবে শিখবেন এবং কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করবেন এ বিষয়ে আপনাদের মনে থাকা প্রশ্নের উত্তরগুলি আশা করি আপনারা ইতিমধ্যে আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে পেয়ে গিয়েছেন।
তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে, জানার ও শেখার কোনো শেষ নেই। আপনি যদি সত্যিই একজন ওয়র্ডপ্রেস এক্সপার্ট হতে চান এবং এ নিয়ে কাজ করতে চান তবে আপনাকে এ বিষয়ে আরও অনেক রিসার্চ করতে হবে, জানতে হবে এবং প্র্যাকটিক্যালি শিখতে হবে।
যেমন- আপনি এখন লোকালসার্ভার বা লোকালহোস্ট ব্যবহার করে কিভাবে wordpress অপারেট করা যায় তা শিখলেন। কিন্তু আপনি যদি একজন এক্সপার্ট হতে চান তাহলে কিভাবে লাইভসার্ভার ব্যবহার করে ওয়ার্ডপ্রেস চালানো যায় তাও শিখতে হবে। যেটি আমরা পরবর্তী কোন ব্লগে আলোচনা করবো।
ধন্যবাদ।